বুধবার, ৩০ Jul ২০২৫, ১১:৩৮ অপরাহ্ন
চাঁদপুর প্রতিনিধি:: চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় দুই কন্যা সন্তানকে হত্যার পর ফাতেমা আক্তার সীমা (২৬) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। স্বামীর পরকিয়ায় দাম্পত্য কলহের জের ধরেই এই ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকালে উপজেলার চরদুঃখিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের পুটিয়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দুই শিশুর নাম আরিফা (৪) ও আরিয়া (২)।
ঘটনার বিবরণে নিহত সীমার স্বামী আরিফ হোসেন বলেন, মঙ্গলবার সকালে আমি বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় দেখেছি আমার স্ত্রী বাচ্চাদের খাওয়াচ্ছে। প্রায় দুই ঘণ্টা পর বাজার থেকে চালের বস্তা নিয়ে বাড়ি ফিরে ভেতর থেকে ঘরের দরজা বন্ধ পাই। ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে ঘরের পেছন দিকের জানালা দিয়ে স্ত্রী এবং বাচ্চাদের ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত দেখতে পাই। তারপর ঘরের দরজা ভেঙ্গে রশি কেটে তাদের লাশ নিচে নামাই। এ সময় আমার চিৎকারে আমার মা-সহ প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে।
সীমার বাবা মোস্তফা কোতয়াল জানিয়েছেন, মেয়ে ও নাতনীদের মৃত্যুর কথা শুনে ছুটে এসেছি। ৭ বছর পূর্বে আরিফের সাথে সীমার বিয়ে হয়। আরিফ দুবাই প্রবাসী। ফেব্রুয়ারি মাসে সে বাড়িতে আসে। ঈদের দুই দিন পর তার দুবাই ফিরে যাওয়ার কথা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, মা এবং বাচ্চাদের মৃত্যু রহস্যজনক। আরিফের পরকীয়ার জেরে তাদের দাম্পত্য কলহ চলে আসছিলো। ৮ এপ্রিল (সোমবার) রাতেও এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। এর জের ধরে মেয়েদের হত্যার পর সীমা নিজে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। অথবা এ কলহের জের ধরে আরিফ নিজেই তাদের হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক মঞ্চস্থ করে থাকতে পারে। ঘটনা যাই ঘটুক প্রশাসনের অনুসন্ধানে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসুক। এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
চরদুঃখিয়া পশ্চিম ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো: শাহজাহান জানিয়েছেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মা ও বাচ্চাদের লাশ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেছি। ফ্যানের সাথে একাধিক রশি ঝুলন্ত দেখতে পেয়েছি। তবে ঘটনা কি আত্মহত্যা নাকি হত্যা সে বিষয়ে নিশ্চিত নই। পুলিশের তদন্তে প্রকৃত সত্য প্রকাশ পাবে বলে প্রত্যাশা করি।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল ইসলাম জানিয়েছেন, আমরা ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। অনুসন্ধান চলছে। তদন্তে শেষে আইনানুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।